Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর ১৪২২

মো. নাজমুল সাকিব রেজা
রংপুর
প্রশ্ন : আম গাছের কচি পাতা ও পুষ্প মঞ্জরিতে  সাদা পাউডারের মতো গুঁড়া দেখা যায়। এর জন্য কী করণীয়?
উত্তর : এটি একটি আম গাছের ছত্রাকজনিত রোগ। এ রোগের আক্রমণে কচি পাতা ও পুষ্প মঞ্জরিতে সাদা পাউডারের মতো গুঁড়া দেখা যায়। যার ফলে ফুল ও ফল ঝরে পড়ে। এ রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য বাগান সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুল আসার আগে একবার এবং ফুল ধরার পর একবার ৮০% সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন- কুমুলাস অথবা থিওভিট ২ গ্রাম এবং টিল্ট ০.৫ মিলি. প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
বজলুল রশিদ
ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন : গমের শিষে কচি দানার রস চুষে খায়। শিষ কালো হয়ে ঝরে পড়ে, কী করলে উপকার হবে।
উত্তর : পূর্ণবয়স্ক ও বাচ্চা জাবপোকা উভয়ই গমের পাতা, কা- ও শিষের কচি দানা থেকে রস চুষে খায়। জাবপোকা এক ধরনের রস নিঃসরণ করে ফলে তাতে শুঁটিমোল্ড ছত্রাক জন্মে এবং আক্রান্ত অংশ কালো দেখায়। জমিতে আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরপিড জাতীয় কীটনাশক (এডফায়ার, কনফিডর) ১ মিলি. লিটার পানি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
পান্না
দিনাজপুর
প্রশ্ন : আমার টমেটো ক্ষেতে ফুল ফল ধরার পর গাছ মরে যায়। প্রতিকার জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর : আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আপনার টমেটো ক্ষেতের সম্পূর্ণ গাছ একবারে নেতিয়ে পড়ে বা ঢলে পড়ে মরে যায়, নাকি পাতা শুকিয়ে মরে যায় তা উল্লেখ করলে ভালো হতো। টমেটো গাছে ফুল-ফল আসার পর ঢলে পড়া রোগে গাছ মরে যেতে পারে। এ রোগ ছত্রাকজনিত ও ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে হতে পারে।   ছত্রাকজনিত ঢলে পড়া রোগ নিয়ন্ত্রণে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলে বাকি গাছগুলোতে কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক গাছ ও মাটি ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। অন্যদিকে শিকড়সহ গাছের মাটিসংলগ্ন স্থান যদি ভেজা ভেজা থাকে বা চাপ দিলে যদি পিচ্ছিল পদার্থ বের হয় বা পিচ্ছিল লাগে তাহলে আক্রান্ত গাছ শিকড় ও আক্রান্ত স্থানের মাটিসহ তুলে গভীর গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে। বাকি গাছগুলোতে ব্যাকটেরিয়ানাশক ক্রোসিন-এজি ১০ এসপি নির্ধারিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে।
রাকিব
বরিশাল
প্রশ্ন : দিনের কোন সময় ফসলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
উত্তর : আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। সকালে বা বিকালে ভালো আবহাওয়ায় বাতাসের অনুকূলে স্প্রে করতে হয়। এ সময়ে রোদের তাপ কম থাকে। বৃষ্টির আগে বা পরে বা কড়া রোদে, বিশেষ করে দুপুরে এবং প্রবল বাতাস বয়ে যাওয়ার সময় কীটনাশক স্প্রে করা উচিত নয়।
পল্লব রায়
দিনাজপুর
প্রশ্ন : ধানক্ষেতের বৃদ্ধি কম। ধান গাছ বসে যায়। কী করণীয়?
উত্তর : ধানক্ষেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম সারের অভাবে এ লক্ষণ দেখা দেয়। সাধারণত দস্তা সারের অভাবে এ ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। ধান গাছের কুশি কম হয় ও গাছ খাটো হয় এবং বসে যায়। পুরনো পাতায় মরিচার মতো দেখা যায় এবং কচি পাতা সাদা হয়ে যায়। এ লক্ষণ দেখা গেলে করণীয়Ñ
০ ক্ষেতের পানি সরিয়ে দিতে হবে এবং      বিঘাপ্রতি ১৫ কেজি দস্তা সার উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।
অথবা
০ জিঙ্ক সালফেট ০.৫% হারে অর্থাৎ প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম জিংক সালফেট  মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সবুজ
দিনাজপুর
প্রশ্ন : কাঁঠালের মুচি কালো হয়ে ঝরে যায়। কী করণীয়?
উত্তর : ছত্রাকের কারণে এ ধরনের পচন রোগ দেখা যায়। এ রোগের কারণে কচি ফলের গায়ে বাদামি রঙের দাগ সৃষ্টি হয় এবং শেষ পর্যন্ত পচে যায়। বাতাসের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে।
করণীয়Ñ
০ গাছের নিচে ঝরে পড়া পুরুষ ও স্ত্রী পুষ্প মঞ্জরি সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
০ মুচি ধরার আগে ও পরে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার ব্যাভিস্টিন/ ইন্ডোফিল এম-৪৫ প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
তাহের হোসেন
মানিকগঞ্জ
প্রশ্ন : প্রতি শতাংশে কতগুলো মাছ দেয়া যাবে?
উত্তর : চাষ পদ্ধতি ও মাছের প্রজাতির ওপর সংখ্যা নির্ভর করে। নিচে শতাংশপ্রতি মাছের সংখ্যা উল্লেখ করা হলো।
১. সাধারণ মিশ্র চাষ : কাতলা ও সিলভার কার্প ২০টি, মৃগেল ১০টি, রুই ১০টি। অথবা কার্প ও গলদা চিংড়ি মিশ্র চাষে কার্প ৩৫টি এবং চিংড়ি ১৫টি।
২. আধা নিবিড় পদ্ধতিতে কার্প মিশ্র চাষ : কাতলা ১০টি, সিলভার কার্প ১৫টি, রুই ১০টি, মৃগেল ১০টি, সরপুঁটি ২০টি ও গ্রাস কার্প ২টি।
৩. মনোসেক্স তেলাপিয়ার একক চাষ : ২০০-২৫০টি।
৪. থাই কৈ একক চাষ : ৩০০-৩৫০টি।
৫. পাঙ্গাশ মিশ্র চাষ : ৬০-১০০টি পাঙ্গাশ, ২টি সিলভার কার্প, ২০টি শিং এবং ২৫টি মাগুর।
৬. পাঙ্গাশ একক চাষ : ১২৫-১৫০টি। মাছ চাষে লাভবান হতে হলে অবশ্যই সুষম খাবার ব্যবহার করতে হবে।
হাপান উদ্দিন
পঞ্চগড়
প্রশ্ন : আমার পুকুরের মাছের গায়ে ঘা দেখা যাচ্ছে। আমি মিশ্র চাষ করি। কিছু ঘাযুক্ত মাছ মরে যাচ্ছে। এখন আমি কী করতে পারি?
উত্তর : ১. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মরা মাছগুলো তুলে ফেলে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে।
২. আক্রান্ত মাছগুলো এক চা চামচ পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ২-৩ মিনিট গোসল করিয়ে নিতে হবে।
৩. প্রতি শতাংশ পুকুরে আধা কেজি চুন ও আধা কেজি লবণ দিতে হবে। মাছের ক্ষতরোগ বেশি হলে পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট শতাংশপ্রতি ১৫ গ্রাম দিতে হবে।
৪. মাছের ক্ষত থাকা অবস্থায় পুকুরে সার প্রয়োগ করা যাবে না।
৫. প্রতি কেজি খাবারের সাথে ৩ গ্রাম রেনামাইসিন এবং ৫ গ্রাম ভিটামিন সি দিতে হবে।
আইনুল হক
বগুড়া
প্রশ্ন : গরুর পায়ে ঘা হয়েছে। কী করণীয়?
উত্তর : সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো প্রকাশ  পেলে বোঝা যাবে গরুর পা পচা রোগ হয়েছে।
লক্ষণ : ১. আক্রান্ত পশুর পায়ের করোনেট ফুলে যায় এবং পশু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে।
২. পশুর দেহ তাপমাত্রা ১০৩০ ফা.-১০৪০ ফা. পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। দুগ্ধবতী গাভীর উৎপাদন ও দৈহিক ওজন হ্রাস পায়।
৩. রোগ জটিল হলে বা একাধিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে আর্থ্রাইটিস, সাইনোভাইটিস, টেন্ডোনাইটিস হয় এবং এক পর্যায়ে পশু শুয়ে পড়ে। যথাসময়ে চিকিৎসা না হলে ক্ষুর খসে পড়ে এবং পশু স্থায়ীভাবে খোঁড়া হয়ে যেতে পারে।
৪. অনেক সময় পশুর পায়ে পুঁজ হয় এবং আক্রান্ত স্থান থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।
রোগ প্রতিরোধ
পশুর পায়ে ক্ষত হওয়ার কারণগুলো বন্ধ করতে হবে। ৫% কপার সালফেট সলুশন ফুট বাথ হিসেবে প্রতিদিন ২ বার ব্যবহার করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এ ক্ষেত্রে কপার সালফেট ২৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর পরিবর্তন করতে হবে। গরুর খাদ্যে স্কয়ার সিটিসি ১৫% ২৮ দিন ব্যবহার করে  এবং টিকার মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
চিকিৎসা :
আক্রান্ত পশুকে জীবাণুমুক্ত শুকনা প্ররিবেশে রাখতে হবে। অতঃপর নিম্নলিখিত উপায়ে চিকিৎসা করা যায়।
১. ইরঢ়বহ ঠবঃজ রহলবপঃরড়হ/ড়ঃবঃৎধ-ঠবঃজ খঅ  
    ওহলবপঃরড়হ
২. অপব- ঠবঃ ইড়ষঁং/ কড়ঢ়-ঠবঃ জ ওহলবপঃরড়হ
৩. ঝঁসরফ- ঠবঃ চড়ফিবৎ.
রুবেল
নাটোর
প্রশ্ন : ছাগলের পি.পি.আর হয়েছে। কী করণীয়?
উত্তর : পি.পি.আর রোগের প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত পশুর খাদ্য গ্রহণে অনীহা, উচ্চ তাপমাত্রা (১০৭০ ফা.-১০৮০ ফা.), নাক, চোখ দিয়ে তরল পদার্থ নিঃসরণ এবং ঠোঁট, জিহ্বা ও মুখম-লে ঘা হয়।
অনবরত রক্ত মিশ্রিত ও দুর্গন্ধমুক্ত ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয়। লক্ষণ প্রকাশের ৪-৫ দিন পর চোখনাক দিয়ে পুঁজযুক্ত তরল পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং এক পর্যায়ে শরীরে প্রচ- পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এ ছাড়া কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং লক্ষণ প্রকাশের ৭-১০ দিনের মধ্যে আক্রান্ত পশু মারা যায়।
প্রতিরোধের উপায়
দুইভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
১. আক্রান্ত পশুকে জবাই করে পুড়ে ফেলে বা পশুর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে।
২. টিকার মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। নিকটস্থ পশু হাসপাতালে প্রাপ্ত পশুসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদিত পিপিআর টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
চিকিৎসা :
১. ঝঁসরফ-ঠবঃ চড়ফিবৎ+ উড়ীধপরহ ঠবঃ চড়ফিবৎ ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ২ বার প্রয়োগ করতে হবে।
২. কড়ঢ়-ঠবঃ ওহলবপঃরড়হ.
    অপব ঠবঃ ইড়ষঁং.
৩. অহঃরযরংঃধ-ঠবঃ ওহলবপঃরড়হ.
৪. এবহধপুহ-ঠবঃ ১০ ওহলবপঃরড়হ.

উল্লিখিত চিকিৎসা অবশ্যই স্থানীয় পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করতে হবে। য়

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon